ত্রেতা যুগে লঙ্কাধিপতি রাবনের হাত দিয়ে শুরু হয় ‘অকাল বোধন’ পুজো। তার কারন পুরাণ মতে, রামচন্দ্র এই পুজোর আয়োজন করলেও, তার পুরোহিত ছিল ছদ্মবেশী রাবণ। সেই অকাল বোধন পুজোই বর্তমান বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব নামেই পরিচিত। এই বৈচিত্রময় পুজোর রীতি নীতি-র বাহারও বেশ। সপ্তমি তে কলা বৌ স্নান, অষ্টমীতে সন্ধ্যি পুজো, দশমীতে সিঁদুর খেলা। তবে দশমীর এই সিঁদুর খেলা রিতীতেই বদল আনতে চলেছে সল্ট লেক সিএ বল্ক সিটিজেন্স অ্যাসোসিয়েশন দুর্গা পূজা কমিটি।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমাদের স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহ সভাপতি রাহুল দত্ত, সম্পাদক সোমনাথ চ্যাটার্জী ও সাধারণ সদস্য গুড্ডু- যার অন্য একটি পরিচয় ও আছে। তিনি একজন অভনেতা। ‘ভুতের ভবিষ্যৎ’- এর মত বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। শিল্পী অনির্বাণ মিত্রোর একক প্রয়াসে রূপ পাচ্ছে মন্ডপ ও প্রতিমা দুই-ই।
এই বছর ৪২তম বর্ষে তাদের থিম “সিঁদুরে বোধন, মাতৃ আগমণ”-অর্থাৎ যেখানে চিরাচরিত প্রথা মেনে দশমীর দিন সিঁদুর খেলার মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় মা কে, সেখানে সিএ ব্লক সিটিজেন্স অ্যাসোসিয়েশন সিঁদুর খেলার মাধ্যমে স্বাগত জানাবে পার্বতীকে।
আর তাই গোটা মন্ডপটাই সিঁদুরের লাল রঙে রঙিন হয়ে থাকবে। পঞ্চমীতে শুভ উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে তাদের দুর্গোৎসবের পথচলা। সপ্তমী থেকে দশমী, পুজোর এই চারটি দিন খাওয়া দাওয়ার এলাহী আয়োজন করা হয়, যা থেকে বাদ যায় না পদ্মার ইলিশ থেকে শুরু করে খাসির মাংস। আর সবচেয়ে বেশি আনন্দের যা, তা হল এই আয়োজন থাকে দর্শনার্থীদের জন্যোও। ইএম বাইপাস ধরে সল্ট লেক যেতে গেলে বিধান শিশু উদ্যান বাস স্টপেজ সংলগ্ন সিএ ব্লক মার্কেটের নিকটে অবস্থিত এই পূজা মন্ডপ।